মাঝে মাঝে আমি ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের সাথে গল্পে বসি । এখনকার স্টুডেন্টরা, যারা কিনা সামনের দিনগুলোতে ব্যবসা চালাবে, ইকোনমি চালাবে, সমাজ-রাষ্ট্র চালাবে, তারা কি ভাবছে, কি নিয়ে ভাবছে, কিভাবে ভবিষ্যৎটাকে দেখছে সেটা জানার জন্য চমৎকার একখানা উপায় এটি । সেদিনও এমন এক আড্ডায় কথা হচ্ছিল । নাম বললাম না তবে দেশের বিখ্যাত এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাঁরা ।

কথায় কথায় জিজ্ঞাসা করলাম "তোমাদের CGPA কত ?"

যার যার CGPA বলল ওরা ।

জিজ্ঞাসা করলাম "CGPA-এর এই অবস্থা কেন ?"

উত্তরে আসলো "ভাইয়া, CGPA দিয়ে কি হবে ! সিজিপিএ কোনো ব্যপার না ।"

প্রশ্ন করলাম "তোমাদের Classmates বা বন্ধুদের ভেতর Highest CGPA কত ?"

ওরা যে সংখ্যাটা বলল তা আমার বিবেচনায় তা মোটেও ভাল বলা যায় না ।

"এত কম কেন ?" - আবারও প্রশ্ন করলাম ।

"সিজিপিএ দিয়ে কি হয় বলেন ভাইয়া ? CPGA doesn’t matter." আবারও ওদের সমেবেত উত্তর ।

সিজিপিএ কোনো ব্যপার না - CPGA doesn’t matter.

আমাদের দেশের স্টুডেন্টদের ভেতর খুবই প্রচলিত এবং বিশ্বাসযোগ্য একখানা কথা ! বিভিন্ন আলাপচারিতা, সেমিনার, সেশন এমনকি মোটিভেশন স্পীকারদের কথাতেও এই কথাটি প্রায়ই শুনতে পাই !

আমার বিবেচনায় এবং অভিজ্ঞতায় বলে এটি অত্যন্ত ভয়াবহ ভুল এবং রীতিমত বিপজ্জনক একখানা ধারণা ! স্টুডেন্টদের পুরো ভবিষ্যতের বারোটা বাজিয়ে দেবার জন্য এই একটি ধারণাই যথেষ্ট !!

কেন ?

সেটিই বলছি তবে, শুনুন । 

প্রথমে প্রশ্ন করব - “আপনার CGPA'এর সংখ্যাগুলো আসলে কি প্রকাশ করে ?”

নিশ্চয়ই বলবেন - “আমার রেজাল্ট ।“

তা তো বটেই । তবে দশমিক সহ চার অংকের এই ছোট্ট সংখ্যা খানা আপনার রেজাল্ট ছাড়াও সাথে সাথে আরও অনেকগুলো জিনিষও প্রকাশ করে । 

গ্রাজুয়েশনের কথাই উদাহরণ হিসেবে বলি । 

গ্রাজুয়েশনটা আসলে কি ? যদি কর্পোরেট ভাষায় বলি তবে বলব এটি আসলে আপনাকে দেয়া একখানা 'প্রজেক্ট' বা 'মিশন' । এই প্রজেক্ট বা মিশনটি শেষ করতে আপনাকে সময় দেয়া হয়েছে কম-বেশী ৪ বছর । এই প্রজেক্টখানা ঠিকঠাক মত শেষ করার জন্য যথেষ্ট রিসোর্সের সাপোর্টও আপনাকে দেয়া হয়েছে - অর্থাৎ আপনার টিউশন ফি, জীবন-যাপনের অন্যসব খরচ, যা কি না সাধারণত: আপনার পরিবার থেকে বহন করছে । 

এই মিশনে আপনার কাজ কি ? লক্ষ্য কি ?

সহজ কথায় বললে আপনার কাজ হচ্ছে পড়াশোনা, ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ, রিসার্চ ওয়ার্ক এগুলো মনোযোগ দিয়ে ঠিকঠাক মত করা । আর লক্ষ্য হচ্ছে চমৎকার রেজাল্ট করা; সাথে বিভিন্ন Extra-curricular activities এর মাধ্যমে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরী করা নেয়া । 

.

আপনি যখন আপনাকে দেয়া কাজগুলো ঠিকঠাক মত, Dedicatedly, Sincerely, Passionately এবং পরিশ্রমের সাথে করবেন, তখন অটোমেটিক্যালি আপনার রেজাল্টও ভাল হবে, হতে হবেই । আর সেটি প্রকাশ পাবে আপনার CGPA’তে । কিন্তু আপনি যদি Dedicated, Sincere, Passionate and Hard working না হয়ে থাকেন, আপনার রেজাল্টও ভাল হবার কোনো কারণ নেই । সারা বছর গা-জোয়ারী করে পরীক্ষার আগে এক-দুই রাত্রি পড়াশোনা করে ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হওয়া শুধু বাংলা সিনেমা আর হুমায়ুন আহমেদের দু-একজন নায়ক-নায়িকাদের ক্ষেত্রেই দেখা যায় । বাস্তবে আমি অন্ত:ত এরকম সুপার-হিউম্যানের দেখা এখন পর্যন্ত পাইনি ।

.

আপনার বাস্তব জীবনটা সিনেমাও নয়, গল্প-উপন্যাসও নয় । সুতরাং যদি মনে করে আপনিও তাঁদের মত সেটি করে ফেলতে পারবেন, আমি বলব - You are destined to fail.

.

সুতরাং, CGPA নামক চার অংকের এই সংখ্যাটি কিন্তু শুধু আপনার রেজাল্ট বা অ্যাকাডেমিক জ্ঞানের পরিমাপকই নয়; বরং সাথে সাথে এটি বুঝিয়ে দেয় যে আপনি আপনার লক্ষ্যে অর্জনে কত খানি Serious এবং Dedicated, কতখানি পরিশ্রমী সেই লক্ষ্য ছুঁতে এবং সাফল্য পেতে কতখানি Passionate.

.

প্রতিষ্ঠান আপনাকে নিচ্ছে কেন ? তাঁদের বিজনেস চালাবার জন্যই তো, তাই না ?

বিজনেস ওয়ার্ল্ড কতখানি কঠিন জানেন ? কতখানি নিষ্ঠুর সে ব্যপারে আপনার কোনো ধারণা আছে ?

একদমই নেই ।

.

রিয়েল বিজনেস ওয়ার্ল্ড আপনার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম কোর্সের চাইতেও অন্ত:ত শতগুন বেশী কঠিন ! বিজনেস ওয়ার্ল্ডের মানুষগুলো আপনার দেখা সবচেয়ে কঠিন-কঠোর ফ্যাকাল্টিটির চাইতেও শতগুণ বেশী কঠিন এবং রুঢ় ! বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আপনি ভুল করলে খুব বেশী হলে কাটা যেত আপনার নিজের খাতার নম্বর, আর বিজনেস ওয়ার্ল্ডে আপনার ভুলে ক্ষতি হবে কোটি কোটি টাকা, বিপদে পরবে কোম্পানী, সাথে শত শত মানুষের জীবিকা ! বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এই সেমিস্টারে খারাপ করলে পরের সেমিস্টারে সেটি পুষিয়ে নেবার সুযোগ আছে । কিন্তু বিজনেস ওয়ার্ল্ডে আপনার একটা খারাপ সিদ্ধান্ত, বেঠিক কাজ পুরো প্রতিষ্ঠানকে কয়েক বছর এমনকি আজীবনের মতও পিছিয়ে দিতে পারে, যেটি আর কখনই পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নাও হতে পারে !

বিজনেস বা কর্পোরেট দুনিয়াটা এমনই তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ, কঠিন এবং ক্ষমাহীন !

সুতরাং, সেই দুনিয়ার একটা প্রতিষ্ঠান যখন দেখবে যে আপনার CGPA বলছে আপনি Serious, Dedicated, Hardworking and Passionate নন, তখন কোন ভরসায় সে আপনাকে চাকরীতে নেবে? আপনার CGPA যখন বলছে আপনি প্রয়োজনীয় রিসোর্স পাবার পরেও আপনার মিশনে ভাল করতে পারেন নি, প্রতিষ্ঠান তখন কোন ভরসায় আপনার হাতে কোম্পানীর রিসোর্স তুলে দিবে ? 

ঠান্ডা মাথায় একটু চিন্তা করে দেখুন । 

ছাত্রাবস্থায় আপনার একটা জিনিষই করার দায়িত্ব ছিল - ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা । আপনি যখন সেটি করতে হেলাফেলা করেছেন, অন্ত:ত আপনার CGPA যখন সেটাই বলছে, তখন প্রতিষ্ঠান কিভাবে বিশ্বাস করবে যে আপনি চাকরী পেলে আপনার কাজটি ঠিকঠাক মত করবেন? এই বিশ্বাসের গ্যারান্টি কি ? কে দেবে ?

একটা কথা প্রায়ই অজুহাত হিসেবে বলতে শুনি - "গ্রাজুয়েশন লাইফে আমার কিছু সমস্যা ছিল । তাই রেজাল্ট ভাল হয় নি ।"

আমি বলব - আপনার কি ধারণা কর্পোরেট লাইফে কোনো সমস্যা নেই ? সব পানির মত সোজা জীবন ? সকাল বেলায় এক মগ গরম কফি হাতে এসি রুমে টেবিলে বসে সবাই আরামসে কাজ করে ?

এখানকার জটিলতা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না । টার্গেটের প্রেশার, কম্পিটশনের অহর্নিশি চাপ, বাজেটের আজীবন সীমাবদ্ধতা, হঠাৎ করে তৈরী হওয়া ক্রাইসিস, ঝড়ের মত এক্সটার্ণাল পরিস্থিতির পরিবর্তন, ক্রিটিক্যাল স্টেকহোল্ডার ম্যানেজমেন্ট, প্রফিট ঠিক রাখা, শত ঘূর্ণিঝড়ের ভেতরেও বিজনেস গ্রোথ আনা, প্রতিটা স্টেপ সময়মত নেবার কঠিন চ্যালেন্জ, পদে পদে জবাবদিহিতা, প্রতিটা টাকার রিটার্ণ-অন-ইনভেস্টমেন্ট, টিম-সিনক্রোনাইজেশন ... ... ... কয়টা শুনতে চান ?!?

তার সাথে থাকবে আপনার জীবনের প্রাত্যহিক জটিলতা । আয়-রোজগারের চাপ, নিজের ক্যারিয়ার গ্রোথের চাপ, পরিবারকে দেখভাল করার চাপ, স্বপ্ন পূরণের চাপ, সমাজের প্রত্যাশা মেটাবার চাপ ইত্যাদি ইত্যাদি । আপনি যখন ছাত্র ছিলেন তখন এর কোনোটিই কিন্তু আপনার ছিল না । অথচ, সেই সহজ সময়টিতেই আপনি নিজের কাজটি, নিজের একমাত্র মিশনটি ঠিক মত করতে পারেন নি । তাহলে কোন ভরসায় প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস করবে যে আপনি এখন সমস্ত চাপ-জটিলতা সামলে নিজের কাজটা ঠিকঠাক মত করতে পারবেন ? বরং এটা ধরে নেয়াই কি বেশী যুক্তিযুক্ত নয় যে আপনাকে কাজে নিলে আপনি চাপ আসলে ভেঙ্গে পরবেন, একাধিক জটিলতা একসাথে আসলে সব পেঁচিয়ে ফেলবেন, পারফর্ম করতে পারবেন না ? আপনার জীবনের পেছনের রেকর্ড তো তাই বলে । তাই না ?

হয়ত বলবেন - "আমার রেজাল্ট খারাপ কিন্তু আমি খুব ভাল জানি ।" 

আমি বলব - প্রমাণ কি ? আপনার মুখের কথা আমি কেন বিশ্বাস করব ? আপনার এই দাবী প্রমাণের চমৎকার একটা উপায় দেয়া হয়েছিল - আপনার রেজাল্ট । আপনি সেটাকে পাত্তা দেন নি । এখন বলছেন আপনি সবই জানেন-পারেন, খালি রেজাল্টটা ভাল নয় ! এই দাবীকে বিশ্বাস করার কি আদৌ কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ আছে ? আপনি হলে বিশ্বাস করতেন ? বরং আমার তো মনে হয় আপনাকে কাজ দিলে যখন ভজঘট পাকিয়ে যাবে তখন আপনি একই ধরণের কথা বলবেন - "স্যার, টার্গেট পূরণ হয়নি কিন্তু আমি আসলে কাজটা এমনিতে খুব ভাল জানি ।" আপনি মনে মনে যতই কাজ জানেন তাতে প্রতিষ্ঠানের লাভ কি যদি সেটি রেজাল্ট আনতে না পারে ?

সুতরাং, আপনার CGPA শুধু আপনার রেজাল্ট বা জ্ঞানেরই পরিচয় নয়, বরং সাথে সাথে এটি আরও অনেকগুলো কোয়ালিফিকেশন এবং ব্যক্তিত্বেরও পরিচয় দেয় ।

তবে হ্যা, CGPA ম্যাটার করে না । তবে সেটা কখন জানেন ? 

আপনি কাজ শুরু করার পর ।

যখন আপনি চাকরী পাবার পর আপনাকে দেয়া প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো ঠিকঠাক মত করতে শুরু করবেন, তখন আর কেউ এসে জিজ্ঞাসা করবে না যে আপনার CGPA কত ছিল, মেট্রিক-ইন্টারের রেজাল্ট কি, কয়টাতে লেটার ছিল, ক্লাস ফাইভে-এইটে বৃত্তি পেয়েছিলেন কি না ইত্যাদি ইত্যাদি ।

তবে সেটা তো চাকরী পাবার পরে । কিন্তু তার আগে ? তার আগে যখন একটা পোস্টের জন্য হাজার হাজার ফ্রেশারের সিভি জমা পরে, তখন কোম্পানি কিভাবে বাছাই করবে যে কাকে কাকে সে ইন্টারভিয়্যুর জন্য ডাকবে ? নিশ্চয়ই কোম্পানীর পক্ষে হাজার খানেক লোকের ইন্টারভিয়্যু নেয়া সম্ভব নয় । তাহলে ?

ফ্রেশারদের ক্ষেত্রে এই বাছাই প্রক্রিয়ায় একটা মানদণ্ড হিসেবে কাজ করে আপনার CGPA । হ্যা, আরও অনেকগুলো ব্যপারও থাকে, তবে আপনার CGPA বা রেজাল্টও এখানে নি:সন্দেহে একখানা বড় নির্ণায়ক হিসেবে কাজ করে । ধরুণ আপনি আর আপনার বন্ধু যে কিনা একই বা একই মানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছে । দুজনের সাবজেক্টও এক । এক্সট্রা কারিকুলার এ্যাক্টিভিটিও একই রকম । দুজনেই সিভি দিয়েছেন । একজনের CGPA 3.2 আরেকজনের 3.7 । আমি সেখান থেকে একজনকে ডাকলে কাকে ডাকব ? অবশ্যই যিনি 3.7, তাকে । কারণ তার রেজাল্ট আমাকে তার ব্যপারে বেশী ভরসা দেয় । আপনি হলেও নিশ্চয়ই একই কাজ করতেন, তাই না ?

মনে রাখবেন আপনি কি জানেন বা পারেন সেটা কিন্তু আপনি প্রতিষ্ঠানকে বলার সুযোগ পাবেন শুধুমাত্র ইন্টারভিয়্যু বোর্ডে ডাক পাবার পরে । কিন্তু সেই সুযোগ পাবার আগেই আপনার CGPA বা রেজাল্ট যদি সিভি সর্টিং টিমকে এই মেসেজ জানিয়ে দেয় যে আপনি মোটেও Serious, Dedicated, Hardworking and Passionate নন, তবে আপনি ইন্টারভিয়্যুতে ডাকটি পাবেন কিভাবে ? আর সেটি না পেলে আপনার নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগটাই বা কোথায় ?

বলতে পারেন চাকরী পাবার ক্ষেত্রে স্কুল জীবন থেকে শুরু করে গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত আপনার সমস্ত রেজাল্ট-গ্রেড-সিজিপিএ'র মূল কাজ 'আপনাকে ইন্টারভিয়্যু বোর্ডের ডাক খানা এনে দেয়া' । যে মুহুর্তে আপনি সেই ডাকটি পেয়ে গেলেন, তখন থেকে বাকী কাজ আপনার আসল জ্ঞান, ব্যক্তিত্ব, স্মার্টনেস, নিজেকে প্রকাশ করার দক্ষতা, সিরিয়াসনেস এবং ডেডিকেশনের উপর । কিন্তু পরম আকাঙ্ক্ষিত সেই ডাকটি আপনাকে এনে দেবার কাজটুকু কি ন্তু আপনার রেজাল্ট বা CGPA'র ঘাড়ের উপরেই পরে । আপনার রেজাল্ট সেটি যদি না করতে পারে, তবে আপনার জ্ঞান, ব্যক্তিত্ব, স্মার্টনেস, দক্ষতা, সিরিয়াসনেস এবং ডেডিকেশন কোনোটিই দেখাবার বা প্রমাণের কোনো সুযোগ আপনি পাচ্ছেন না । 

তবে শুধু CGPA জোগাড় করলেই হবে না, আপনাকে সত্যিকারের জ্ঞান এবং দক্ষতাটুকুও অর্জন   করতে হবে । কারণ, আপনি যদি আসল বিষয়টি না বুঝে এবং প্র্যাকটিক্যাল লাইফে ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জন না করে শুধু মুখস্ত করে বা কপি করে ভিত্তিহীন CGPA অর্জন করেন, তাহলে দিন শেষে কিন্তু খুব একটা কাজ হবে না । কারণ আপনার চাকরী টিকবে না । কারণ অল্পদিনেই সবাই বুঝে যাবে আপনার CGPA আসলে কোনো কাজের নয়, বরং কিছু ফাঁকা বুলি । তাই, শুধু CGPA বানালেই হবে না, সাথে আসল দক্ষতা আর জ্ঞানটুকুও আপনাকে অর্জন করতে হবে নি:সন্দেহে । সেটি নিয়ে আরেকদিন কথা বলা যাবে । 

তবে যেমনটা আগেই বলেছি ইন্টারভিয়্যুতে ডাক পেতে আপনার CGPA বিরাট একখানা বিষয় হিসেবে কাজ করবেই  ।  

এটিই সত্য, এটিই বাস্তবতা । 

তাই "CGPA কোনো ব্যপার না - CGPA does not matter." এ ধরণের ভুল, উদ্ভট, ফ্যান্টাসীপূর্ন ধারণা থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বের হয়ে আসুন । তাতে আপনার ভবিষ্যতই রক্ষা পাবে । যত তাড়াতাড়ি আপনি এই কড়া সত্যটি বুঝবেন, ততই আপনার নিজের জন্যেই মঙ্গল, নিজের জীবনের জন্যই ভাল ।

Author: Sarjis Alam (Ex studennt of Dept )